জীবনের অর্থ কী?
নির্দিষ্ট একটি বহমান সময়ের ধরাবাঁধা শৃঙ্খলই জীবন। এর বাইরে মানুষ চাইলেও কখনোই যেতে পারার সাধ্যটি তার নেই। মানুষ যখন শিশু বেশে সদ্য পৃথিবীতে আগমন করে তখন সে থাকে খুবই দুর্বল, অবুঝ আর অক্ষম। অন্যের সাহায্য ছাড়া তখন শিশুটি এক ফোঁটা মায়ের দুধও চেয়ে পান করতে পারে না। এমনই অসহায় থাকে মানুষ শিশুকালে। ধীরে ধীরে মা-বাবা স্বজনের সহায়তায় শিশুর মুখে বুলি ফোটে। হাঁটতে শেখে অন্যের হাত ধরে। জীবন চলার পথ এমনই কঠিন। আমরা যখন জীবনের বুঝার বয়সে পা রাখি তখন কতই না আমাদের অহমিকা দাম্ভিকতা জ্ঞানের বাহাদুরি হৃদয়ে জন্মে। চলাফেরায় বেশভূষণে অপার অহমিকা আভিজাত্য প্রকাশ পায়। মানুষ তখন সৃষ্টিজগতের সবকিছুই তার পায়ের তলায় মনে করে। ধরাকে মনে করে এই তাদের কাছে কিছুই না। মানুষ এতটাই বেঈমান আর অকৃতজ্ঞ, যা পবিত্র কোরআনেও আলস্নাহ বারবার বলেছেন। তাঁর সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ থেকে তিনি প্রতিনিয়তই ভালোবাসার বদলে আঘাত পান। তবুও তিনি ক্ষমা করে দেন মানুষ কাঁদলে স্বীয় কৃতকর্মের অনুশোচনায়।